জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে রোববার (২৮মে) বলেছেন, চাকরির বয়সের সীমা ৩৫ বছর করা এখন সময়ের দাবি।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, পৃথিবীর ১৬২টি দেশে চাকরির আবেদনের সময়সীমা ৩৫-৫৯ বছর পর্যন্ত। বয়সই বড় কথা নয় যোগ্যতাই বড় কথা। এই সময়সীমা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, লেখাপড়া শেষ করতেই ২৮ বছর অতিবাহিত হয়ে যায়, লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না পেয়ে ৩০ বছর চলে যাওয়ায় যুবকদের মনের অবস্থা হতাশায় পরিণত হয়ে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলে যা অত্যান্ত দুঃখের এবং আমাদের অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করে।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি সরকারের আমলে শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার হার বেড়েছে। ছেলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে কিন্তু বেকারত্ব আরো হু হু করে বেড়ে চলেছে। এই বেকারত্ব দূর করতে হলে শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক ধারায় শিক্ষিত করলে চলবে না। কারিগরী শিক্ষার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা কোর্স দিয়ে শিক্ষিত করলে হবে না। কারিগরী শিক্ষার জন্য উচ্চতর শিক্ষারদ্বার উন্মোচন করতে হবে।
বেগম রওশন এরশাদ গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে আরও বলেন, প্রতিটি সরকারি বে-সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অবিলম্বে কারিগরী শিক্ষার বিষয়গুলো চালু করা হোক। শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বিবেচনা করা যায়না। কারণ একটি বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার ছেলে-মেয়েদের চাকরি হয়। আর আমাদের বেকার যুবকদের সংখ্যা ২৬ লক্ষ্যের উপরে আছে। তাদের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করারও দাবি করেন তিনি।