মৌসুমি বায়ুর কারণে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চরণশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় উপকূলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। টানা কয়েক দিন বৃষ্টি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর পাহাড়ধসের সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে চট্টগ্রামে।
গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হলেও গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমেছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থার কারণে আগামী কয়েকদিন চট্টগ্রামে আরও বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে । একই সঙ্গে রয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কাও।
গেল টানা পাঁচদিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল ডুবে আছে পানির নিচে। এদিকে আকাশে মেঘ ভিড় করায় আবারো বৃষ্টির ভয়ে আছেন টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার মানুষ।
পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা রাঙ্গাবালীতে থেমে থেমে বইছে মৃদু দমকা বাতাস। সাগর উত্তাল থাকায় গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে ট্রলারগুলো তীরে ফিরে আসছে।
দুইদিন ধরে কলাপাড়ায় বিরামহীন মুষলধারায় বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। এ কারণে বহু জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
বাগেরহাটের শরণখোলায় লাগামহীন বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ভারি বৃষ্টিতে শত শত একর আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
টানা দুই দিনের ভারি বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের দুই-একটি যায়গায় পাহাড় ধস হলেও বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।অপরদিকে চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ায় খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বান্দরবানের সঙ্গে থানচির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এদিকে বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় আলীকদম উপজেলার সঙ্গেও জেলা সদরের সঙ্গেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ।
এছাড়া বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে নেত্রকোণার জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নগরীতে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।