জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত ৬টি হলে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ফলে হলগুলো দ্রুত চালু করার আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবসন সংকট কমে যাবে একবারে শূন্যের কোটায়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসির ইন্সপেকশন ও মনিটরিং শাখা কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর এক পত্রে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম।
তিনি বলেন, অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি ভালো খবর। আমাদের শিক্ষার্থীদের আবাসনের কষ্টের দিক চিন্তা করে অনেকদিন থেকে আমরা প্রচেষ্টা চালালেও জনবল সংকটের কারণে তা সমাধান করা যাচ্ছিল না। এবার হয়তো তা অনেকটা সহজ হয়ে উঠলো। এ নিয়ে বাকি কাজও চলমান। এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আমি নির্দেশ দিয়েছি।
অনুমতি পত্রে দেখা যায়, প্রতি হলের জন্য ১৬ জন করে মোট ৯৬ জন জনবল নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে তদারক সংস্থাটি। এর মধ্যে ক্যাটাগরী-৫ এ নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৩ জন, পরিচ্ছনতা কর্মী পদে ৬ জন, মালি পদে ১ জন ও ডাইনিং অ্যাটেন্ডেন্ট পদে ৬ জন করে দেয়া হয়েছে। তবে যে দুটি হলের চাবি হস্তান্তর হয়নি সেগুলোর চাবি হস্তান্তর সাপেক্ষে ওই দুটি হলে জনবল নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
হলে শিক্ষার্থী উঠানো সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নিগার সুলতানা বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হলে শিক্ষার্থী উঠাতে চাই। এ মাসের শেষের দিকে প্রভোস্ট কমিটির সাথে প্রশাসনের একটি যৌথ সভা আছে। সেখানে হল খুলে দেয়া সহ বেশকিছু ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে দুটি হল হস্তান্তর করা হয় নি তা নিয়েও আলোচনা হবে। তবে এতটুকু বলতে পারি জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে হয়তো ১ সপ্তাহের মধ্যে হল খুলে দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬টি আবাসিক হল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের ১টি হল ও মেয়েদের ১টি হলে শিক্ষার্থী উঠানো হয়েছে। বাকি ৪টি হলের মধ্যে ২টি হল হস্তান্তর করা হলেও অন্য ২টি হল এখনো হস্তান্তর করা হয় নি।