প্রায় মাস খানেক ধরেই জনসমক্ষে নেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। এবার তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যহতি দিলো চীন। তার জায়গায় কমিউনিস্ট পার্টির পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ওয়াং ই কে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মাসখানেক ধরেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশ পায়। এ খবরে মধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে এলো খবর।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৫৭ বছর বয়সি কিন গ্যাংকে প্রায় এক মাস জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তার সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল গত ২৫ জুন।
গত ডিসেম্বরে মন্ত্রী মনোনীত হওয়ার সময় তাকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেই মনে করা হচ্ছিল। এক জন শক্ত কূটনীতিক হিসেবে পরিচিত হলেও কিন চীনের ‘নেকড়ে যোদ্ধা’ স্টাইলের কূটনীতি থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে চলছিলেন।
চীনা সরকারের সবচেয়ে পরিচিত মুখগুলোর এক জন হিসেবে কিনের দীর্ঘ অনুপস্থিতির ওপর শুধু কূটনীতিক বা চীন পর্যবেক্ষকরাই দৃষ্টি রাখছেন না বরং সাধারণ চীনা জনগণেরও দৃষ্টি আছে।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়াই উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের এমন হুটহাট নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। পরে অনেক সময় দেখা যায়, তারা অপরাধ তদন্তের আওতায় রয়েছেন। আবার অনেক সময় তারা অন্তর্ধানে যান ও পরে ফিরে আসেন জনসমক্ষে।
কিন্তু দৃশ্যপটের বাইরে থাকার কারণ সম্পর্কে তারা কিছু বলেন না। শি জিনপিং নিজেও ২০১২ সালে চীনের নেতা হওয়ার আগে প্রায় দুই সপ্তাহ জনসমক্ষে আসেননি। তখন তার স্বাস্থ্য এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের বিষয় আলোচনায় এসেছিল। তবে পার্টির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে কিন একজন যিনি দীর্ঘসময় ধরেই অনুপস্থিত।