চেতনানাশক ইনজেকশনের কারণেই মারা যায় স্কুলছাত্র আয়হাম - দৈনিকশিক্ষা

চেতনানাশক ইনজেকশনের কারণেই মারা যায় স্কুলছাত্র আয়হাম

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

গত ২০ ফেব্রুয়ারি খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালে মারা যায় ১০ বছরের শিশু আহনাফ তাহমিদ আয়হাম। খতনার সময় চিকিৎসকদের গুরুতর অবহেলাতেই আয়হাম মারা গেছে—ঢাকা মেডিকেলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুটি চেতনানাশক ইনজেকশনের কারণেই হার্ট-অ্যাটাকে মারা গেছে আয়হাম।

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আয়হামের রক্তে দুই ধরনের চেতনানাশক ছিল। ক্ষত-বিক্ষত ছিল শ্বাসনালী। আর পুলিশের তদন্তে দেখা যায়, অভিভাবকদের না জানিয়ে পুরো চেতনানাশক দেয়া হয় আয়হামকে।

কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান ডা. এস এম আব্দুল আলিম বলেন, ‘সব ওষুধের একটি নির্দিষ্ট ডোজ (সীমা) আছে। সরাসরি রক্তনালীতে দিলে এক ধরনের ডোজ, মাংসে বা চামড়ার নিচে দিলে এক ধরনের ডোজ। ডোজ অতিক্রম করে ফেললেই এসব ঘটনা ঘটতে পারে। আর ডোজ লিমিট যদি কমই থাকে তাহলে ব্যাথা কম হবে, অক্সিজেনের অভাব হবে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, মানুষ মারা যাবে।’

সরেজমিনে আয়হামের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ পরিপাটি, গোছানো কক্ষ। পড়ার টেবিলে থরে থরে সাজানো বই-খাতা। ড্রয়ারে রাখা রং-পেন্সিল। স্কুল ব্যাগটাও আছে আগের জায়গায়। টেবিলে মিলল আয়হামের আঁকা ছবি, ফ্যামিলি ট্রি। ছোট ভাই আর বা-মার সঙ্গে আয়হাম। অথচ আয়হামই সবার আগে ঝরে পড়ল।

মতিঝিল আইডিয়ালের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আয়হাম। ছিল ক্লাস ক্যাপটেনও। একটি প্রতিযোগিতায় সেরাও হয় সে, আর সেই পুরস্কার পরিবারের কাছে আসে তার মৃত্যুর পর।

কান্নাজড়িতে কণ্ঠে আয়াহামের মা খায়রুন নাহার বলেন, ‘আয়হাম নেই এটি আমি এখনো মানতে পারি না। আমার কাছে মনে হয়, আয়হাম এখনও পাশের ঘরে পড়ছে।’ আয়হামের বাবার দাবি, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। 

এদিকে, এই ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা করেছে পরিবার। অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক হলেন অর্থোপেডিক সার্জন ইশতিয়াক আজাদ, এসএম মুক্তাদির ও মাহবুব মোরশেদ।

আরো পড়ুন

খৎনা করতে গিয়ে শিশুর মৃ*ত্যু, জেএস ডায়াগনস্টিক সিলগালা

ওটিতে প্রবেশের আগে বাবাকে যা বলেছিলো আহনাফ

পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু - dainik shiksha পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আইইউটির ৩ ছাত্রের মৃত্যু অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত - dainik shiksha অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি বাদ দেয়া উচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha ভিকারুননিসা নূন স্কুলে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে - dainik shiksha গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম পর্যায়ের ভর্তি আজকের মধ্যে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051648616790771