দৈনিক শিক্ষাডটকম, গাজীপুর : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) রুমানা আলী টুসির বড় ভাই মো. জামিল হাসান দুর্জয়। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রীপুরে নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চার শর্ত জুড়ে দিয়ে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে গতকাল সকালে এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনার বিষয়টি নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির কার্যালয়ে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি চিঠি পাঠানোর জন্য বলা হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চার শর্ত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে শতভাগ নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে। কোনো ইস্যুতে ফেসবুকেও কাউকে আক্রমণ করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শতভাগ সহযোগিতা করতে হবে। এ ছাড়া গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে কোনো আক্রমণাত্মক কথা বলা যাবে না। এসব শর্ত মেনে উপজেলা নির্বাচনে নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন দুর্জয়।
দুর্জয় গাজীপুর-৩ আসনের টানা পাঁচবারের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রহমত আলীর ছোট ছেলে। ২০১৮ ও ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে সংসদ নির্বাচনে তিনি ওই আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে অংশ নেননি।
এদিকে দুর্জয় উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটা ভুল সিদ্ধান্ত। এতে দলের ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টি হবে। তবে তার পক্ষের নেতাকর্মীরা বলছেন, এটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। সাবেক প্রতিমন্ত্রী রহমত আলীর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে দুর্জয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
প্রতিমন্ত্রীর ভাই উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রীপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের কর্মী-সমর্থকরা। তাদের ভাষ্য, গত সংসদ নির্বাচনে রুমানা আলীর পক্ষে কাজ করেছেন তারা। আবদুল জলিল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন, এটাও সবাই জানেন। কিন্তু তার বড় ভাই নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করে রাজনীতির পরিবেশটাই পাল্টে দিলেন।