বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ চট্টগ্রামের মোটর মেকানিক মো. হাসানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে পাঠানো হয়। এর আগে প্রায় তিন মাস হাসান সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি গ্রামের বাসিন্দা হাসান। ছোট বেলায় হারিয়েছেন বাবাকে। এরপর চাটখিল এতিমখানা মাদরাসা থেকে হাফেজি শেষ করে চট্টগ্রামে গাড়ির পার্টসের দোকানে কাজ নেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নগরীর টাইগার পাস এলাকায় ৪ আগস্ট মাথায় গুলি লাগে হাসানের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রায় তিন মাস আগে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও অগ্রগতি না হওয়ায় এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসানকে পাঠানো হলো থাইল্যান্ডে।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম সোলায়মান বলেন, ‘যখনই যে অবস্থা আসবে আমরা সেই ব্যবস্থা নেব। দেশে সম্ভব হলে দেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেব, যাদের বিদেশে প্রয়োজন তাদের জন্য আমরা সুপারিশ পাঠিয়েছি। তবে এই কেসটা একটু জরুরি ছিল বলে আমরা তাকে বিদেশে পাঠালাম। এখান থেকে আরেকটু উন্নত চিকিৎসা পেলে তার জীবনটা ভালো হবে- এমন আশা নিয়েই আমরা তাকে ব্যাংককে পাঠিয়েছি।’
সরকার ও সেনাপ্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হাসানের মা বলেন, সবকিছুর মূলে সেনাপ্রধান। তিনি পাশে না থাকলে আজ এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। সবার সহযোগিতায় এ পর্যন্ত এসেছি।
আর হাসানের বোনের বিশ্বাস, থাইল্যান্ড থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন তার ভাই।
রাত সাড়ে ৮টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতাল থেকে একটি মেডিকেল টিম আসে সিএমএইচে। সেখান থেকে মেডিকেল চেক আপ করে হাসানকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় এয়ারপোর্টে। রাত পৌনে ১১টার দিকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।