ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহ*ত ১৮ হাজারের বেশি - দৈনিকশিক্ষা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহ*ত ১৮ হাজারের বেশি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সারাদেশে সংঘাত-সহিংসতায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। সরকার গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ৬২২। মৃত্যুর এই সংখ্যা হাসপাতাল থেকে নেওয়া। অবশ্য আন্দোলনের সময় নিহত অনেককে হাসপাতালে আনা হয়নি। তাই প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি প্রাথমিক বা খসড়া তালিকা। এখন তথ্য-উপাত্ত শুদ্ধকরণের (ডেটা ক্লিনিং) কাজ চলছে। এই তালিকা ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হবে। তখন আরো কিছু নাম হয়তো যোগ হবে। মৃত্যুর সংখ্যাতেও পরিবর্তন আসবে।

সরকারি হিসাবে আন্দোলনে এ পর্যন্ত আহত মানুষের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৪৭। আট বিভাগের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে ১১ হাজার ৭৩ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম আহত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। এই বিভাগে আহত হয়েছে ২৩৬ জন।

ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে ১ হাজার ৭৩৮ জন। এরপর খুলনা বিভাগে ১ হাজার ৫৪৬ জন। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে যথাক্রমে ১ হাজার ২০৫ জন ও ১ হাজার ১৫৪ জন। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ৭১৮ ও ৫৭৭ জন।

এমআইএস যে তথ্য পেয়েছে, তাতে দেখা যায়, আহত মানুষের মধ্যে ১০ হাজার ৯৩৯ জন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৬ হাজার ৮৬৫ জন।

এমআইএস সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনযায়ী আহত মানুষের বেশির ভাগ চিকিৎসা নিয়েছে সরকারি হাসপাতালে। ১৮ হাজার ২৪৭ জন আহত মানুষের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৯ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৫৫৮ জন। তবে বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের কোনো জেলায় কেউ বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়নি। এই চার বিভাগে কোনো আহত ব্যক্তি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিলেও তা কেউ সরকারকে এখনও জানায়নি।

মৃত্যুর তালিকায় দেখা যায়, আন্দোলনের সময় সব বিভাগেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ৪৭৭ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছে বরিশাল বিভাগে, একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে মারা গেছে যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলায় মারা গেছে যথাক্রমে ২২, ১৯ ও ১৭ জন।

কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবি বলেন, আমরা হাসপাতাল সূত্রের বাইরে অন্য সূত্র থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সহিংস ঘটনার পর ৪৪৩ জনকে মৃত অবস্থায় (ব্রট ডেড) হাসপাতালে আনা হয়েছিল। বাকি ১৭৯ জনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

মৃত্যুর তালিকায় দেখা যায়, আন্দোলনের সময় সব বিভাগেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ৪৭৭ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছে বরিশাল বিভাগে, একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে মারা গেছে যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন। সিলেট, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলায় মারা গেছে যথাক্রমে ২২, ১৯ ও ১৭ জন। এই আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে রংপুরে। এই বিভাগে সহিংসতায় মারা যায় ৪ জন।আন্দোলনের সময় শুরুর দিকে নির্বিচারে পুলিশের ছররা গুলিতে বহু মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে যায়।

সংঘর্ষ-সহিংসতায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ৪৮ জনের আঘাত বা জখম ছিল গুরুতর। এদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। তবে অস্ত্রোপচার ও সব ধরনের চিকিৎসা শেষে অন্তত ৫২৫ জন কমবেশি শারীরিকভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।

আন্দোলনের সময় পুলিশ নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে। আন্দোলনের শুরুর দিকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ নির্বিচার ছররা গুলি ছুড়েছিল। ছররা গুলিতে বহু মানুষের চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এমআইএসের হিসাবে দেখা যায়, চোখে গুরুতর আঘাত পাওয়া মানুষের সংখ্যা ৬৪৭। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি, ৬০৩ জন। ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে, ২২ জন। বাকি ছয় বিভাগে চোখে গুরুতর আঘাত লাগা মানুষের সংখ্যা ২২। কেউ দুই চোখের; আবার কেউ এক চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য হারাতে পারে।

আন্দোলনে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0084230899810791