বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, অতীতে শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতির অনেক খারাপ দিক দেখেছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দলীয় কার্যক্রম, সভা-সমাবেশে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের গণরুমে নির্যাতন করা হতো। মেধার ভিত্তিতে যে শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তার কোনো স্বাধীনতা ছিল না। ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তচিন্তার অধিকার ছিল না। ছাত্রদের দাস হিসেবে ব্যবহার করেছে ছাত্র নেতারা। ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমও তারা দেখেছে। এসব কারণেই রাজনীতির ওপর বিতৃষ্ণা তৈরি হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। তারা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নানান বিষয় বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করি। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ উপাচার্য বলেন, ছাত্র রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করা অন্যায় নয়। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির খারাপ রূপ দেখে শিক্ষার্থীরা তা নিষিদ্ধের দাবি করেছিল বলে আমার ধারণা। কারণ তারা দেখেছে দলীয় রাজনীতির নামে বিশৃঙ্খলা হয়েছে ক্যাম্পাসগুলোতে। এসব প্রেক্ষিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের আলোচনা হয়েছে।
এই শিক্ষাবিদ বলেন, এখন নতুন বাংলাদেশ। ছাত্র রাজনীতির নামে ফের যেন এমন অপরাজনীতির পুনরাবৃত্তি না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেন পড়াশোনার পরিবেশ বিঘিœত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখব আমরা। উপাচার্যরা এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবেন।