বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসার এক শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। অভিযুক্ত আবু রায়হান (২২) উপজেলার আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুসসুন্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসা ও দরবার শরীফের হেফজ বিভাগের শিক্ষক। স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দিয়ে তাকে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তাকে সোপর্দ করে। মামলা দায়েরের পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বাসিন্দা একটি ছেলে নন্দীগ্রাম উপজেলার আইলপুনিয়া মুজাদ্দেদিয়া দারুসসুন্নাহ হাফেজিয়া মাদরাসা ও দরবার শরীফে হেফজ (আরবী) লেখাপড়া করতো। সে অন্যান্য ছেলেদের মত ওই শিক্ষকের সঙ্গে মাদ্রাসার এটি কক্ষে থাকত। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে সব ছাত্রদের নামাজে যেতে বলে ওই শিক্ষক। আর এ ছাত্রের সঙ্গে কথা আছে বলে তাকে দেরি করতে বলেন শিক্ষক রায়হান। পরে শিক্ষক আবু রায়হান তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে এবং ওই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান।
গত বুধবার বিকেল ছেলেটি মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বাবাকে মাদরাসায় আসতে বলে। তার বাবা মাদরাসায় আসলে ওই ঘটনাটি খুলে বলে সে। তখন বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানায় ছাত্রের বাবা।
পরে, স্থানীয় লোকজন শিক্ষক আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। এরপর গণপিটুনি দেয়া হয় নিপিড়ক শিক্ষককে। জনতে পেরে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।