লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ১৩ বছর বয়সী কামরুল হোসেন শুভ নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত ছাত্রের মা রেখা বেগম। মামলায় দুই শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। সোমবার সকালে রামগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় মাদরাসার প্রধান শাফায়েত আহাম্মদ ও মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত কামরুল হোসেন শুভ মোহাম্মদীয় এতিমখানা কমপ্লেক্সে হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। মাদরাসার আবাসিকে থেকেই পড়ালেখা করতো।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, মাদরাসা ছাত্রকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়া এঘটনার সাথে আরো কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, শিক্ষকরা জানিয়েছে শুভ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছিল।
আরো পড়ুন : শিক্ষকদের নির্যাতনে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ
পরে শুভ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে মারধর করা হয়েছে কি না তা সঠিকভাবে বলতে পারছি না। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটন করবেন। এতে আমাদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এর বাইরে আমি আর কিছু জানি না।
উল্লেখ্য, কামরুল হোসেন শুভ মোহাম্মদীয় এতিমখানা কমপ্লেক্সে হেফজ বিভাগে আবাসিকে থেকেই সে পড়ালেখা করতো। রোববার সকালে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় মাদরাসার শিক্ষকরা কারণে-অকারণে শুভকে মারধর করতো। রোববার ভোরেও তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে জানায় মাদরাসার কর্তৃপক্ষ। কামরুল হোসেন শুভকে পরিকল্পিতভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে মাদরাসার শিক্ষকরা বলে অভিযোগ করেন নিহত ছাত্রের স্বজনরা।