কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার অনিক মারা গেছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় বুধবার (২৮ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টানা ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান তিনি।
লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ ভূঁঞা বুধবার রাতে অনিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অনিক লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ ভূঁঞা বলেন, ‘গত ২১ জুন রাতে লাকসাম পৌরশহরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের ওপর যুবদল নেতা সাঈদ হাসান সাকিল ও ছাত্রদল নেতা সায়মুন রহমান রকির নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় তারা ছাত্রলীগ নেতা অনিক, সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীরের বুকে ও পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে লাকসাম এবং পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ ভূঁঞা আরও জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ইফতেখার অনিকের অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে অনিককে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানে বুধবার রাতে অনিকের মৃত্যু হয়েছে। অনিকের মতোই বাকি দুজন কুমিল্লা মেডিকেলে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
এদিকে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইউনূছ ভূঁঞাসহ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ছাত্রলীগ নেতা অনিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।