ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে একটি শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকি পরিষ্কার করানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ এবং এক শিক্ষককে। সোমবার রাজ্যের কোলার শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সেই সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে স্কুলের চার জন কর্মচারীকে। এই কর্মচারীদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
যে স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে, সেটির নাম মোরারজি দেশাই রেসিডিন্সিয়াল স্কুল; আর গ্রেফতার ওই অধ্যক্ষের নাম ভারাতাম্মা, শিক্ষকের নাম মুনিয়াপ্পা।
ঠিক কবে এ ঘটনা ঘটেছে জানা যায়নি, তবে কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই স্কুলের দু’টি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওগুলো আমলে নিয়ে সোমবার সকালে কর্ণাটক পুলিশ এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভাইরাল হওয়া দু’টি ভিডিওর একটিতে দেখা গেছে, স্কুলের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য চার জন শিক্ষার্থীকে কোদাল হাতে সেপটিক ট্যাংকে নামানো হয়েছে। আর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে এক সারিতে নিলডাউন করিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের সবার পিঠে ভারী ব্যাগ।
ভিডিওগুলো ভাইরালের পর রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার অধ্যক্ষ্য ও শিক্ষক অভিযোগ স্বীকার করে বলেছেন, বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি হিসেবে এগুলো করতে বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের।
ভারতের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মানুষ ঢুকিয়ে তা পরিষ্কার করানো আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তিন দশক আগেই। বদ্ধ ট্যাংকের ভেতর দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর ব্যাপক ঝুঁকি থাকাই আইন প্রণয়নের কারণ। তবে দেশটির কোনো রাজ্যেই এ আইন বড় একটা মানা হয় না।
কর্ণাটক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যে শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে নামানো হয়েছিল, তাদের মৃত্যু হতে পারত। সৌভাগ্যবশত তারা বেঁচে গেছে, কিন্তু যে মানসিক আঘাত তারা পেয়েছে— দীর্ঘদিন এটা তাদের ভোগাবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
সূত্র : এনডিটিভি