ছাত্রলীগ আক্রান্ত হয়েও আক্রমণ করেনি; তারা ধৈর্য ধারণ করেছে; কিন্তু গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে বলে জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যা সত্যি, গণমাধ্যম তাই প্রকাশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এ আন্দোলন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক নয়; এ আন্দোলন বিএনপি ও জামায়াতের লক্ষ্যবস্তু।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা করার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিপরীতে বিএনপি ও জামায়াত আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নেমেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ আন্দোলনে তিন শতাধিক ব্যক্তি মারাত্মক আহত হয়েছে; অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছাত্রলীগের নারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ ছাড়াও তাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে; সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে; শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এগুলো কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাজ হতে পারে না। তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে নৈরাজ্য করতে; এগেুলো সরকার হটানোর দুরভিসন্ধি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হেনস্তা করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে তারা ছাত্রলীগকে দোষারোপ করছে। কিন্তু ছাত্রলীগ আক্রান্ত হয়েও আক্রমণ করেনি, ধৈর্য ধারণ করেছে। কিন্তু গণমাধ্যমের সর্বত্র হেডিং হয়েছে ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে। আমি আশা করি গণমাধ্যম যা সত্যি, তাই প্রকাশ করবে।’
যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, উস্কানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারাই হোক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনস্বার্থে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জানমালের নিরাপত্তা বাধাগ্রস্ত করে - এমন কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে থেকে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার নির্দেশ দেয়া হলো।