নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের আল-আমিন দাখিল মাদরাসার শরীরচর্চা সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ হারুনের বিরুদ্ধে মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুইজন ছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটিতে মাদরাসার সাবেক সভাপতি আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক এবং মাদরাসার শিক্ষিকা শামীমা খাতুন ও অভিভাবক সদস্য এমদাদুলকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার মাদরাসা চলাকালে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শরীর নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলাসহ বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করেন শিক্ষক হারুন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এরপর সহপাঠীর সঙ্গে হয়রানির ঘটনা ঘটলে মুখ খুলেন ওই শিক্ষকের হয়রানির শিকার একাধিক ছাত্রী। এ ঘটনায় শিক্ষক হারুনের বিরুদ্ধে গত সোমবার মাদরাসার কয়েকজন ছাত্রী ও অভিভাবক মাদ্রাসা সুপারের কাছে অভিযোগ দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক হারুন ওই মাদরাসার ছাত্রীদের জড়িয়ে ধরা, ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থান নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলা, ছাত্রীরা দুষ্টামি করলে ছাত্রদের দ্বারা ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়ানো এবং আপত্তিকর নির্দেশ দেন।
এদিকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক হারুনুর রশিদ হারুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি কোনো ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করিনি। আমি প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি। প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা রুহুল আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মাদরাসায় মিটিংয়ে ম্যানেজিং কমিটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।