দৈনিক শিক্ষাডটকম, বরগুনা : বরগুনার আমতলীতে এক স্কুলছাত্রীকে বখাটে জাহিদ মোল্লা উত্ত্যক্ত করছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার মা-বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বৃহস্পতিবার মেয়েটির মা সাতজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে মেয়েটি। তাকে এক বছর ধরে জাহিদ মোল্লা নামে এক বখাটে উত্ত্যক্ত করে আসছে। তিন মাস আগে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জাহিদ। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল খানের সহযোগিতায় উদ্ধার করে মেয়েটিকে বাড়িতে আনা হয়। বুধবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল ছুটি হলে বাড়ি যাচ্ছিল মেয়েটি। পথে জাহিদ মোল্লা তাকে উত্ত্যক্ত করে। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা-মা ও চাচাতো ভাই প্রতিবাদ করলে বখাটে জাহিদসহ ছয়-সাতজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় বখাটেরা তাদের মারপিট করে। পরে মা-বাবা সঙ্গে মেয়েটি বাড়িতে চলে যায়। বিকেলে মেয়েটির বাবা-মা ও চাচাতো ভাইকে ডেকে নিয়ে বখাটে জাহিদ ও তার সহযোগীরা আরেক দফা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে হামলা করে। এতে তাদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মামলার পর হামলাকারী জাহিদ পলাতক।
স্কুলছাত্রীর আহত বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে জাহিদ। আমরা প্রতিবাদ করায় ডেকে নিয়ে লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকেও তারা পিটিয়েছে। এ হামলায় সজল আকন, জাহিদ ও তার বাবা সাইফুল মোল্লা জড়িত।’
তবে অভিযুক্ত জাহিদ হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তার ভাষ্য, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। উল্টো মেয়ের বাবা-মা ও চাচাতো ভাই আমাকে মারধর করেছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা কাঙ্ক্ষিতা মণ্ডল তৃণা বলেন, স্কুলছাত্রীর মা-বাবাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।