প্রায় আট বছর আগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. আকবর হোসেন ওরফে হাতকাটা আকবর (৩৬), মো. মোশাররফ হোসেন ওরফে লিটন (৩৩), মো. নুরুল আবছার ওরফে স্বপন (৪০), আবুল বশর ওরফে বশর (৫৫) ও মো. সুমন (৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আকবর, মোশাররফ ও নুরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়া বলেন, সন্দ্বীপে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর সন্দ্বীপ থানাধীন রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরের দিন রাস্তার পাশের জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন আদালত।