রাঙ্গামাটির লংগদুতে নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবকসহ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিয়ে করাসহ ১ একর জমি লিখে দেওয়ার শর্তে জামিন পেয়ে পুনরায় বিদ্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে লংগদু উপজেলা সদরে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক হলেন—আব্দুল রহিম (৪৬)। তিনি লংগদুর করল্যাছড়ি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বিক্ষোভকারী বলছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় রাঙামাটির আদালত ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ২৯ নভেম্বর তাঁকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে বিয়ে ও ১ একর জমি লিখে দেওয়ার অঙ্গীকার করে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন আব্দুর রহিম। জামিনের পর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন স্কুলে যোগদান করেন। এমন ব্যক্তিকে তারা শিক্ষক হিসেবে মেনে নেবেন না। এরই প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় থেকে তাঁকে আজীবন বহিষ্কারের উপজেলায় সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রত্যেক বক্তাই ওই শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবি জানান। এতে বক্তব্য রাখেন—লংগদু সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা, অভিভাবক এরিক চাকমা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিতু চাকমা, সাবেক শিক্ষার্থী কল্যাণ প্রিয় চাকমা।