ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানার শরীফাবাদ স্কুল অ্যান্ড কলেজর বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নকল করার অপরাধে দায়িত্বরত শিক্ষক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে শিক্ষার্থীর কান্নাকাটির কারণে কর্তব্যরত শিক্ষক তাকে জানায় প্রধান শিক্ষক অনুমতি দিলে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে।
জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী অনুমতির জন্য প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রবেশ করে তার পায়ে ধরে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতির জন্য অনুমতি চায়। শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসেন তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে। এই ঘটনা শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর ঘটনার বিস্তারিত লিখিতভাবে জানান। ফলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে সভাপতি নীরু খলিফার সভাপতিত্বে উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মিটিংয়ে উপস্থিত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র এমারত হোসেনকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জানান, অযোগ্য ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কারনে স্কুলের পড়ালেখার মান দিনদিন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং ছাত্রছাত্রী কমে যাচ্ছে। ভাংগা থানার ২৫টি স্কুলের মধ্যে যেখানে শরীফাবাদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবস্থান দ্বিতীয় ছিল, সেখানে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের কারণে এখন ২৩তম অবস্থানে।
শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার মানবন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের পাশাপাশি স্কুল থেকে তাকে অপসারণের দাবি জানান। মানববন্ধনে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শ্লীলতাহানির অভিযোগে মেয়েটির পরিবার মামলা দায়ের করলে প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।