দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদকে (৫৩) বরখাস্ত করা হয়েছে। স্কুলের ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করছে জেলা শিক্ষা অফিস।
বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হোসেন আলী আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিযোগ ও শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছেন।
অভিভাবকরা জানান, এই শিক্ষককে শুধু বরখাস্ত নয় তার কঠিনতম শাস্তি দাবি করছি আমরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপী চাঁদ রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সহকারী শিক্ষক সিরাজুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরকম শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা না হলে পরবর্তীতে ছাত্রীরা নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে ভয় পাবে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এমন ঘটনা ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তা তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছিলো। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কোমলমতি বাচ্চাদের যৌন নির্যাতনের মত ঘটনার নিন্দা জানাই। অভিভাবকদের অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ ও গণশুনানি নেয়া হয়েছিলো। তদন্তে ও গণশুনানিতে ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।