বরিশালের বানারীপাড়ায় শিক্ষক হাফেজ রায়হানের বিরুদ্ধে ইয়াসিন (১৫) নামে এক ছাত্রকে হত্যার পর লাশ গুম করতে খালে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ১৮ অক্টোবর ওই ছাত্রের লাশ স্থানীয় আউয়ার খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে । হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয়রা উপজেলার আউয়ার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
নিহত ইয়াসিন উপজেলার তালপ্রসাদ গ্রামের মৃত সৈয়দ সিরাজুল হকের ছেলে।
নিহতের সহপাঠী আউয়ার দারুল উলুম মাদ্রাসা-এতিমখানার শিক্ষার্থী মোমিনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসাবে দাবি করে মমিন রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ১৭ অক্টোবর দুপুরে তিনি (রায়হান) ইয়াসিনসহ সহপাঠীদের দিয়ে মাদরাসার নিচু স্থান ভরাট করছিলেন। তখন ইয়াসিন শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় মাদরাসার সামনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। ওই মাদ্রাসাশিক্ষক তাকে বসে থাকতে দেখে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী মাদরাসার চৌকাঠের ওপর ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়।
তিনি ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে না নিয়ে মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে রায়হান সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ পার্শ্ববর্তী আউয়ার খালে ফেলে দেন।
এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ মাদরাসা ছুটি ঘোষণা করে এবং বিষয়টি কারও কাছে না বলার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়। ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রব মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিন উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া শিশু শিক্ষার্থীর ভিডিও তদন্ত করেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।