ছয় শিক্ষককে অবৈধ নিয়োগে সহায়তা করেও বহাল অধ্যক্ষ - দৈনিকশিক্ষা

ছয় শিক্ষককে অবৈধ নিয়োগে সহায়তা করেও বহাল অধ্যক্ষ

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

কলেজের ছয়জন শিক্ষককের কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এই অবৈধ নিয়োগে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। এখানেই শেষ নয়। অবৈধ নিয়োগ দেয়া ওই ছয় শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে সহায়তা করে পদোন্নতিতে সুপারিশ করেছেন তিনি। অধ্যক্ষের এই কর্মকাণ্ডের ফলে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। এমন সব গুরুতর অভিযোগ থাকার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম। 

সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে আলোচনায় এসেছে অধ্যক্ষ জহুরুলের অনিয়মের অভিযোগগুলো।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ দিয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় ৬ ব্যক্তি প্রভাষক পদে অধ্যক্ষের সহায়তায় নিয়োগ নেন। এরা হলেন- শশাঙ্খ সরকার, মোসা. কামরুন নাহার, মো. জাকির হোসেন, মো. রবিউল আলম, ফরিদা ইয়াসমিন, মুশতারি আশরাফি। 

স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পদোন্নতি না হওয়ায় প্রথমে পদোন্নতি আবেদন করা চারজন ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্টের ডিরেকশন রায়ে শিক্ষা অধিদপ্তরকে তাদের সনদ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন অধ্যক্ষ জহুরুল। আপিল নিষ্পত্তি করার আগেই ঘুষ দিয়ে দুই জনের পদোন্নতি নেয়া হয়। যা সম্পূর্ণ অনিয়ম বলছেন বঞ্চিত শিক্ষরা।

পরে আরো চারজন পদোন্নতির জন্য রিট করেন। সেই রিট কোর্ট খারিজ করে দেয় আদালত। এই তথ্য গোপন রেখে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে পদোন্নতি পায় চারজনই। তারা অধ্যক্ষের আত্মীয় হওয়ার সুবাধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নানা সুবিধা পেয়ে আসছিলেন।

অধ্যক্ষ জহুরুল কাম্য অভিজ্ঞতা ছাড়াই উচ্চতর স্কেল বাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাঁচবিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কিছু কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তাদের স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় তারা আমার পিছনে লেগেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কিছু মহল আমাকে বিপদে ফেলার জন্য করতেছে। এর আগে তারা মামলা দিয়েছে কোটে, সে মামলায় তারা হেরে গেছেন। আমার এক মাস চাকরি আছে, আমাকে হয়রানির জন্য এরা এসব করছে। আমি যাতে করে বেতন না তুলতে পারি তার জন্য এসব করছে।

প্রায় দুই লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাঁচ লাখ খাতা চ্যালেঞ্জ - dainik shiksha প্রায় দুই লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পাঁচ লাখ খাতা চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা, রোজ সম্মানী পাবেন ৫০০ টাকা - dainik shiksha ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা, রোজ সম্মানী পাবেন ৫০০ টাকা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে বেসরকারি মেডিক্যাল-ডেন্টালের ভর্তি ফি নির্ধারণ - dainik shiksha বেসরকারি মেডিক্যাল-ডেন্টালের ভর্তি ফি নির্ধারণ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ঢাবিতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ - dainik shiksha ঢাবিতে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধে গণভোটের দাবিতে বিক্ষোভ নিম্নমানের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হবে - dainik shiksha নিম্নমানের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে দেয়া হবে আসিফ নজরুলের সাথে কি ঘটেছিল জেনেভা বিমানবন্দরে - dainik shiksha আসিফ নজরুলের সাথে কি ঘটেছিল জেনেভা বিমানবন্দরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029408931732178