জন্ম নিবন্ধনের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সত্বেও বিশ্বব্যাপী ১৫ কোটি শিশু ‘অদৃশ্য’, আইনি পরিচয় থেকে বঞ্চিত ও রাষ্ট্রহীনতা এবং অধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ইউনিসেফ এই সতর্কতা উচ্চারণ করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
জাতিসংঘ শিশু সংস্থা একটি নতুন প্রতিবেদনে অনুমান করেছে যে, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৭৭ শতাংশ শিশুর জন্ম গত পাঁচ বছরে নিবন্ধিত হয়েছে। যা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দুই শতাংশ বেশি।
কিন্তু এই ধরনের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ সত্বেও ১৫ কোটি অল্প বয়সী শিশু নিবন্ধিত না হওয়ার কারণে আইনি বাধার মধ্যে রয়েছে। আরো ৫০ মিলিয়ন যাদের নিবন্ধন করা হয়েছে কিন্তু তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক জন্ম সনদ নেই।
একজন ব্যক্তির পরিচয় এবং বয়স নিশ্চিত করার জন্য জন্ম সনদগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয়তা প্রতিষ্ঠা এবং শিশুশ্রম, জোরপূর্বক বাল্য বিবাহ বা সামরিক বাহিনী দ্বারা অপ্রাপ্তবয়স্ক নিয়োগ থেকে সুরক্ষারজন্য এই ধরনের প্রমাণ প্রায়ই অপরিহার্য।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল রির্পোটের সাথে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করে যে শিশুরা অবিলম্বে আইনের অধীনে স্বীকৃত হয়, ক্ষতি এবং শোষণ থেকে সুরক্ষার জন্য একটি ভিত্তি প্রদান করে সেইসাথে ভ্যাকসিন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে অ্যাক্সেস প্রদান করে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘অগ্রগতি সত্বেও অনেক শিশু অগনিত এবং হিসাবহীন থেকে যায়,সরকার বা আইনের চোখে কার্যকরভাবে অদৃশ্য’।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাস করে। যেখানে শুধুমাত্র ৫১ শতাশ অল্পবয়সী ছেলে ও মেয়ে নিবন্ধিত।
ইউনিসেফ বলেছে, নিবন্ধনের বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিবারের জ্ঞানের অভাব, অতিরিক্ত খরচ, অপর্যাপ্ত রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং কিছু অঞ্চলে লিঙ্গ, জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য।