সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিঠুন বাড়ৈকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মিঠুন বাড়ৈকে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। সেই সঙ্গে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হলো।
এদিকে রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে মিঠুন বাড়ৈ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সরাসরি শাখা ছাত্রলীগ কোনো সদস্যকে অব্যাহতি দিতে পারে না। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র না মেনে রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে এটা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তারা মূলত আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী না করতে ডেডিকেটেড কর্মীদের ছাঁটাই মিশনে নেমেছে। অথচ ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির ও বিবাহিতদের নিয়ে ছাত্রলীগের গ্রুপ চালাচ্ছে। এছাড়া তারা সংখ্যালঘু কর্মীদের ওপর নিপিড়ন করছে। জবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নিজেদের স্বার্থে কয়েকজন বাদে ৩৫ জনের অধিকাংশ পোস্টেড নেতাদের ক্যাম্পাস রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। এজন্য জবির মিছিলে ছাত্রলীগের কর্মী কম থাকে।
এদিকে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে ১৭ (ক,খ,গ) ধারায় বলা আছে, ছাত্রলীগের কোনো শাখা কমিটিরই এর সদস্য বিশেষকে বহিষ্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদকে পরামর্শ দেয়ার অধিক ক্ষমতা নেই। বহিষ্কারের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে ছাত্রলীগের যেকোনো শাখা উপযুক্ত কারণ দর্শীয়ে কোনো অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে নিজস্ব তদন্ত পরিচালনা করে প্রয়োজনে আরো কঠোর শাস্তি অথবা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করবেন।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে মিঠুন বাড়ৈ ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে নানা রকমের অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে। ক্যাম্পাসের আশেপাশে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তার অসৌজন্যমূলক আচরণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের নারী নেত্রীদের সঙ্গেও সে বিভিন্ন সময়ে খারাপ ব্যবহার করেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরো অনেকের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।