জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বিবৃতিতে দ্রুত খাদিজার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা ও মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) এক টুইট বার্তায় এই বিবৃতি প্রকাশ করে সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়, খাদিজাতুল কুবরা এক বছরেরও অধিক সময় ধরে বিনা বিচারে আটক হয়ে আছেন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে একটি ওয়েবিনারে উপস্থাপনার কারণে সম্প্রতি বাতিল হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এতে বলা হয়, ওয়েবিনারে উপস্থাপনের সময় তার বয়স ১৭ বছর হলেও তাকে প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে এবং একের পর এক জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। তার জামিনের পরবর্তী শুনানি ১০ নভেম্বরে হবে।
পড়াশোনার জন্য খাদিজার এখন ক্যাম্পাসে থাকা উচিত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি কঠোর আইনের জন্য খাদিজার জেলে থাকা উচিত নয়। এছাড়া বিবৃতিতে তারা খাদিজার মুক্তি দাবি করে একটি স্বাক্ষরের আয়োজন করেন।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তিনটি দাবি হলো- খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করুন এবং অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন; তার মুক্তি যতদিন মুলতুবি থাকবে ততদিন তার এমন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন যা আন্তর্জাতিক মান পূরণ করে; মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অভিযুক্ত ও আটক সবাইকে মুক্তি দিন।
এর আগে চলতি বছরের গত ২৮ আগষ্ট অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন উপ-আঞ্চলিক পরিচালক নাদিয়া রহমান খাদিজার মুক্তি চেয়ে অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।