জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার প্রতিবাদে সদরঘাটগামী ভিক্টর ক্লাসিকের ১১টি বাস আটকে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসব বাস আটকে রাখেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৪ অক্টোবর গুলিস্তানে হাফ পাস নিয়ে বিতর্কের সময় হেনস্তার শিকার হন জবি ছাত্রী জান্নাত এশা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার হেনস্তার ঘটনাটির বিস্তারিত লিখে পোস্ট করেন। পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এর প্রতিবাদে পরিবহনটির বাস আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এশার ফেসবুক পোস্ট সূত্রে জানা যায়, জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর নতুন বাজার (বাঁশতলা) থেকে ভিক্টর ক্লাসিক বাসে ওঠেন এশা ও তার বোন। সদরঘাটে আসার হিসেবে ফুইজনের মোট ষাট টাকা ভাড়া দেন তিনি। কিন্তু গুলিস্তানে এলে কনন্ডাক্টর জানান বাসটি সদরঘাট আসবে না। সে অনুযায়ী ভাড়ার বাকি টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় ঝামেলা। স্টুডেন্ট হিসেবে হাফ পাস চাইলেও তা কাটেননি তারা। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে বাকি টাকা ফেরত চাইলে তারা হেনস্তা করেন এবং বাস চালক বলেন, 'এরা বহু ঝামেলা করে, ধইরা নামায় দে'।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রাকিব বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভিক্টর ক্লাসিকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ শুনছি। কিন্ত গতদিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ ব্যাচের এক ছাত্রীকে ভিক্টর ক্লাসিক বাসে হেনস্তা করা হয়। সেজন্য আমরা আজ ওদের ১০ থেকে ১১ টি বাস আটকে রেখে ওদের বলেছি তোমাদের ম্যানেজার বা মালিককে আসতে বলো, আমরা কথা বলবো। তারা এসেছেন, আমরা কথা বলছি তাদের সঙ্গে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। তাদেরকে ডাকা হয়েছিলো। সমাধানের জন্য তাদের সঙ্গে বসেছি।