দিনব্যাপী নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নবনির্মিত ম্যুরাল উন্মোচন করেন জবি উপাচার্য।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন শেষে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। একই সঙ্গে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনগুলো।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী ৩ বছরে বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে নতুন করে সাজানো জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সহায়তায় তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিলো।
সত্তরের নির্বাচনের মতো দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান হওয়ায় বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা কঠিন হতে কঠিনতর হয়ে পড়ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়েই তাঁর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সজাগ থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হলে আমাদের আত্ম-জিজ্ঞাসাবোধ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্য আওয়ামী পরিবার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এমেল হক মোল্লার সঞ্চালনায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য দেন।
এ ছাড়াও শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।