এক মাসেরও বেশি সময় পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ হয়েছে উপাচার্য। গত বৃহষ্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি দপ্তরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া রদবদল এসেছে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও বিভাগীয় পদেও।
জানা যায়, নতুন নিয়োগ পাওয়া চারটি দপ্তর হলো রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক দপ্তর। এ ছাড়া রদবদল এসেছে উপাচার্য দপ্তর, পরিবহন পুল, ডিন অফিস, গবেষণা সেলসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদেও।
রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, প্রক্টর পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, হল প্রভোস্ট পদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ড. সাবিনা শরমিন এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. কেএম রিফাত হাসান।
এছাড়াও প্রশাসনিক পদে থাকা ১২ জন কর্মকর্তার দায়িত্বে পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার সৈয়দ ফারুক হোসেনকে উপাচার্য দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে, উপাচার্য দপ্তরের মো. আল হেলাল উদ্দিনকে গবেষণা সেলে, পরিবহন পুলের মোহাস্মদ মনসুর আলমকে উপাচার্য দপ্তরে, গবেষণা দপ্তরের মোহাম্মদ জামাল হোসেনকে উপাচার্য দপ্তরে, রেজিস্ট্রার দপ্তরের অপূর্ব কুমার সাহাকে পরিবহন পুলে, উপাচার্য দপ্তরের মোহাম্মদ ইমরান হোসেনকে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে, রেজিস্ট্রার দপ্তরের মোহাম্মদ আনোয়ার হোছাইনকে উপাচার্য দপ্তরে (পিএস টু ভিসি) বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া সহকারী রেজিস্ট্রার মো. এনামুল হককে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কলা অনুষদের ডিন কার্যালয়ে, এস এম এনামুল হকে ডিন কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত শাখায়, মো. ময়নাল হককে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে ভাস্কর্য বিভাগে, রোকসানা আফরোজ রিয়াকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে দর্শন বিভাগে, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) ইসরাত জাহানকে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট পদত্যাগ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। একই সাথে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রোভোস্ট, পরিবহন প্রশাসক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রধানরা। উপচার্য নিয়োগের পর এসব ফাঁকা পদে নিয়োগ শুরু হয়েছে।