জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের বসবাসের নিষেধজ্ঞা দেয়াার বিধানকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাগুলোর সংগঠন ‘সিএসও ফোরাম ফর স্ট্রেনদেনিং সাসটেইনেবল এসআরএইচআর ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ’। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনটি বলছে, আবাসিক হলে ছাত্রীদের বসবাসের ক্ষেত্রে এরূপ বৈষম্যমূলক বিধান ও তার প্রয়োগ খুবই উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সম্মিলিতভাবে বিবাহিত বা গর্ভবর্তী শিক্ষার্থীদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিবর্জিত সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে প্রত্যেক গর্ভবর্তী শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকাকালীন যেনো প্রসূতিকালীন প্রয়োজনীয় সব সেবা তাৎক্ষণিকভাবে পেতে পারে-সে বিষয়টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিশেষ আবেদন জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই বৈষম্য মূলক বিধিমালা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ (৩)-(সুযোগের সমতা), অনুচ্ছেদ ২৭- (আইনের দৃষ্টিতে সমতা) এবং অনুচ্ছেদ ২৮- (লিঙ্গ বৈষম্য বিলোপ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি বাংলাদেশের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা এবং নিরাপদ মার্তৃত্ব ঘোষণাপত্রসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব অঙ্গীকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের বিবাহিত এবং অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে বলা হয়, আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলী এবং আচরণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১ এর ১৭ নং ধারা অনুযায়ী বিবাহিত এবং গর্ভবর্তী শিক্ষার্থীরা আবাসিক সিট পাবে না।
সিএসও ফোরামের সদস্য সংস্থাগুলো হলো, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইপাস বাংলাদেশ, আইসিডিডিআরবি, নারী মৈত্রী, ব্র্যাক, মেরি স্টোপস বাংলাদেশ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি, জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সিরাক- বাংলাদেশ, ফ্যামিলি প্ল্যানিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওজিএসবি, নারীপক্ষ, ব্লাস্ট, বাপসা, আরএইচস্টেপ, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন, আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল ও কেয়ার বাংলাদেশ।