বাংলা খ্রিষ্টাব্দ অনুযায়ী নয়, এখন থেকে জমির খাজনা আদায় হবে ইংরেজি অর্থবছর অনুযায়ী। এ সক্রান্ত বিধান রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আইন- ২০২২ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান।
খসড়ায় বলা হয়েছে, এখন থেকে বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্রের পরিবর্তে ইংরেজি অর্থবছরের পয়লা জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খাজনা আদায় করা হবে। খাজনা আদায় ও এর হিসাব-নিকাশ সময়োপযোগী করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি এখন থেকে ২৫ বিঘা পর্যন্ত যাদের জমি রয়েছে তাদের কর দিতে হবে না। এর বেশি হলে কর দিতে হবে। এ ছাড়াও ভূমির মালিক ইচ্ছা করলে তিন বছরের কর একসঙ্গে দিতে পারবেন।
ব্রিটিশ আমল থেকে খাজনা আদায় করা হতো বাংলা খ্রিষ্টাব্দকে ভিত্তি করে। বর্তমানে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী। আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে প্রণীত এ অধ্যাদেশ আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। এই বাধ্যবাধকতার জন্য বিভিন্ন অধ্যাদেশের সমন্বয়ে ভূমি উন্নয়ন কর আইনের খসড়া করা হয়েছে। এ আইনে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।