মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেয়া হবে। প্রত্যেক জয়িতাকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ের তথ্য ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এবার যারা জয়িতা পদক পাচ্ছেন তারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজরা।
প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন বলেন, এরইমধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা দেয়া হবে। প্রত্যেক জয়িতাকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ দেয়া হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী সবার নাম ও কাজ এবং সমাজে তাদের অবদানের বিষয়গুলোর ওপর বিশদ বিবরণ তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী রিমি বলেন, শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থানে নারীরা আজ সফল। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন । যে কারণে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে।
জয়িতাদের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহের আনার কলি, একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা কল্যাণী মিনজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে লেখাপড়া করেন। বর্তমানে তিনি সোনাদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া সিলেটের কমলী রবিদাশ, একজন সফল জননী। মাত্র ১৮ টাকা দিন মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তার ছেলেকে তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তার ছেলে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আছেন।
সিমিন হোসেন রিমি আরও বলেন, বরগুনার জাহানারা বেগম, মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায় তার। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায়, স্বামী তাকে এসিডে দগ্ধ করেন। পরে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী জয়িতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন। খুলনার পাখি দত্ত (হিজড়া) নিজের জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কেয়া খান।