বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের ৫৭ শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপসচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান এবং নবায়ন ক্যাটাগরিতে শাবিপ্রবির মোট ৫৭ শিক্ষার্থী এই ফেলোশিপের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন।
এরমধ্যে ভৌত বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমফিল/পিএইচডি ক্যাটাগরিতে এ ফেলোশিপের জন্য এক হাজার ১২৪ জনের মধ্যে ২৯ জন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমফিল/পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৮৯০ জনের মধ্যে ১২ জন আবেদনের প্রেক্ষিতে মনোনীত হয়েছেন। খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান গ্রুপে এমএস/এমফিল/পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৩৮১ জনের মধ্যে ১৪ জন মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু নবায়ন ক্যাটাগরিতে শাবিপ্রবির কোনো শিক্ষার্থী মনোনীত হননি।
ফেলোশিপে এমএস ক্যাটাগরিতে প্রত্যেককে ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল (১ম বর্ষ) ক্যাটাগরিতে ৬৮ হাজার ৪০০ ও এমফিল (২য় বর্ষ) ক্যাটাগরিতে ৯৯ হাজার টাকা এবং পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ফেলোশিপ অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। প্রতিবছরই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতা আমাদের জন্য গর্বের।
১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে ক্যাটাগরি-১ (ভৌত বিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-২ (জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান), ক্যাটাগরি-৩ (খাদ্য ও কৃষি বজ্ঞান) এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। তিন ক্যাটাগরির নির্ধারিত কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টোরাল শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাতকার গ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে।