জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, সামনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এক ধরনের সংস্কার আনতে যাচ্ছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আমরা এ ধারণাগুলো থেকে বের হওয়া চেষ্টা করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সিলেবাস রয়েছে, সে সিলেবাস কারিকুলাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এএসএম আমানুল্লাহ বলেন, যাতে দেশের বাইরে ও ভেতরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েটরা ভালো চাকরি পায় তা নিশ্চয়তা করার চেষ্টা করছি। গত বিসিএস পরীক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবস্থান ছিল তৃতীয়। এই তৃতীয় অবস্থান থেকে আমরা দ্বিতীয় ও প্রথম অবস্থানে যেতে চাই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক যে টিম রয়েছে তাদের সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করার চেষ্টা করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে পরীক্ষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। পেছনের যে সমস্ত পরীক্ষা রয়েছে সেগুলো যদি আমরা আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে নিতে পারি, তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ দূর করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, আমরা এমন সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলাম যখন সমস্ত দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরো এলোমেলো অবস্থায় ছিল। এ অবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের ভেতরে আনার জন্য আমরা গত দুই মাসে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্য দিয়েছি। সারাদেশের কলেজগুলো মোটামুটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চ শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে।
বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাবি নিয়ে কাছে অনেকেই আসছে। আমাদের সময় দিতে হবে। আমাদের যদি সারাক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন তাহলে তো আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব না। আমাদের একটু সময় দেন। আশা করছি সরকার একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নূরুল ইসলাম বলেন, কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে মানসম্মত হয় তা আমরা সব সময়ই পর্যবেক্ষণ করছি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ডেভেলপমেন্ট করার ক্ষেত্রে কর্মমুখী শিক্ষার জন্য আইসিটির প্রতি আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। প্রতিটি কলেজে যেন আইসিটির প্রয়োগ যথাযথভাবে হয় তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি মুহম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ারুল আজীম আখন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। এসময় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।