মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ নিয়ে গবেষণা দুইটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দশ শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। ওই দশটি সংগঠনের মোর্চা ‘বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের’ পক্ষ থেকে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা দেয়ায় ও শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণে দুইটি কমিটি গঠনের শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশনা দেয়ায়’ সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো শিক্ষক নেতারা হলেন, অধ্যক্ষ আসাদুল হক, ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম, মো. ফরিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. ফয়েজ হোসেন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বিলকিস জামান, মো. মহসীন রেজা, অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, মো. আব্দুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, মো. ফখরুদ্দীন জিগার, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, অনুপম বড়ুয়া, মো. শাহে আলম, শেখ মো. আফসার উদ্দিন ও মো. আনসার আলী।
তাদের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুইটি কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশ দেয়ায় ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করায় বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নেতারা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব দুইটি কমিটি গঠন করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের প্রতি আহ্বান জানান। তারা ওই দুই কমিটিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো ও আইএলও র সুপারিশের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের দাবি একই শিক্ষাক্রম পড়ানো হলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিস্তর বৈষম্য আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুলাই থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে কয়েকহাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিদিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এ পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার বেসরকারি শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ নিয়ে গবেষণা ও যাচাই-বাছাইয়ে দুইটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন দীপু মনি। তিনি জানান, জাতীয়করণের প্রক্রিয়া কিভাবে হবে সে বিষয়ে গবেষণায় এর একটি কমিটি গঠিত হবে। ওপর কমিটির গঠিত হবে কি পরিমাণে টাকা খরচ হবে তা যাচাই বাছাই করতে। এ দুই কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে পাওয়া ফল নিয়ে শিক্ষক ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে, জাতীয় নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে না।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সে ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন। তারা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণার দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।