জানুয়ারিতে স্কুল বাস নামাচ্ছে ডিএনসিসি - দৈনিকশিক্ষা

জানুয়ারিতে স্কুল বাস নামাচ্ছে ডিএনসিসি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সকাল থেকে স্কুলগামী ও অফিসগামীদের যাতায়াতে যানজটে অচল হয়ে যায় রাজধানী। তাই যানজট নিরসনে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমাতে স্কুল বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। নতুন বছরের শুরুতে চারটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বাস নামাচ্ছে ডিএনসিসি।

এ বিষয়ে কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে রাজধানীর চারটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে ডিএনসিসি। এখন প্রকল্পের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। এ চারটি স্কুল হলো- ঢাকার চিটাগং গ্রামার স্কুল, স্কলাস্টিকা, স্যার জন উইলসন স্কুল ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল। পর্যায়ক্রমে বড় স্কুলগুলোকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এই বাস সার্ভিস চালু হবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষামূলক স্কুল বাস সার্ভিস চালুর জন্য প্রস্তুতি চলছে। স্কুল বাস সার্ভিস চালুর অংশীজন হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই। সব অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুতই শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা স্কুল বাস সার্ভিসটি চালু করে দিতে পারব। শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে স্কুল বাসে যাওয়া-আসা করলে যানজট কমার পাশাপাশি তারা আনন্দ পাবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হবে।’ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রায় ১৪ হাজার প্রাইভেট কার দিনে অন্তত চারবার শিক্ষাঙ্গনে যাওয়া-আসা করে। এর ফলে রাজধানীর সড়ক-সংলগ্ন ভালো স্কুলগুলোর সামনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। স্কুল বাস চালুর মাধ্যমে স্কুল গেটকেন্দ্রিক যানজট কমাতে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড (ডিটিসিবি-বর্তমানে ডিটিসিএ) অনেক দূর এগিয়ে গেলেও পরে সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রায় এক যুগ পরেও যানজট লাঘবে স্কুল বাস সার্ভিস চালু করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) আজিমপুর থেকে মিরপুর পর্যন্ত ১৪টি স্কুল বাস চালু করলেও সেই বাস সার্ভিস এখন রাস্তায় নেই। জানা গেছে, রাজধানীতে স্কলাসটিকা, আগা  খান স্কুল, কোডা, সোডা, ইউডাসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে থেকেই নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু করেছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ায় বাস সার্ভিস প্রবর্তন করেছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট কারে আসা-যাওয়া করে। স্কুল বাস সার্ভিস বাস্তবায়ন হলে একটি স্কুল বাসে অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী বহন করা যাবে। অথচ এই ৩০ জনকে স্কুলে নিয়ে আসতে-যেতে তাদের প্রাইভেট গাড়ির অন্তত ১২০টি ট্রিপ দিতে হয়।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, চারটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই পাইলট প্রকল্পের সম্ভব্যতা যাচাই চলছে। রুট, বাসের সংখ্যা, নিরাপত্তা অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হচ্ছে। বাসের হেলপার হিসেবে নারীদের নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করছি জানুয়ারিতে আমরা রাজধানীতে স্কুল বাস সার্ভিস চালু করতে পারব।’ 

স্কলাসটিকায় পড়ে ফাহমিদা হোসেনের ছেলে সাইমুন। তিনি বলেন, ছেলে স্কুলে যাওয়া শুরু করলে আমরা ব্যাংক ঋণ করে গাড়ি কিনেছি। কারণ তার স্কুলে যাতায়াত যেন নিরাপদ হয়। রাজধানীর গণপরিবহন কি শিশুদের যাতায়াতের উপযুক্ত? স্কুল বাস যদি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং সাশ্রয়ী হয় তাহলে অবশ্যই ছেলেকে তাতেই পাঠাব। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে আগে এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। ডিটিসিবির সাবেক অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘যানজট নিরসনে রাজধানীতে স্কুল বাস নামানো উদ্যোগ ভালো। কিন্তু বাস নামানোর আগে সার্বিক বিষয়ে তথ্য নিয়ে খুঁটিনাটি পরিকল্পনা করতে হবে।

 এই বাসগুলো রাখার জায়গা নির্ধারণ, জনবল, জ্বালানিসহ সার্বিক খরচ কীভাবে উঠবে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। স্কুল বাস বা শিক্ষার্থী বহনকারী বাস যদি সেই রাস্তাতেই পার্কিং করে রাখা হয় তাহলে সেটা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবকদের সঙ্গে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সফলতা পায় না।’

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034880638122559