জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রাশেদুল আলম শিমুল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আরফিন আলম সানি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ২১ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরফিন আলম সানিকে রুমে ডেকে নেন অভিযুক্ত রাশেদুল আলম শিমুল। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে তাকে (সানি) বেধড়ক মারতে শুরু করেন শিমুল। এসময় পাশে থাকা কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করলে সেটা ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গা কাঁচের টুকরো দ্বারা সানি আঘাতপ্রাপ্ত হন। এক পর্যায়ে মাথায় তীব্রভাবে আঘাতের ফলে পড়ে যান সানি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন সানি।
চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সানি নামে একজন চিকিৎসা নিতে আসে। মাথায় আঘাত ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরে তাকে ব্যাথা ও ঘুমের ওষুধ সেবনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী আরফিন আলম সানি বলেন, আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককের কাছে অভিযোগ করেছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ পত্র জমা দিবো। আমি ভয়ের মধ্যে আছি। আমি এর বিচার চাই।
তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রাশেদুল আলম শিমুল। তিনি বলেন, এরকম মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এবিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।