জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (২১) নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঘটনায় এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হলো। সাইফুল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার তিনি ৪ নম্বর আসামি।
শনিবার (২ঌ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর তুরাগ ধানার ধউর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক অলক কুমার দে।
রাত ১২টার দিকে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বক্কর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ছোট শালগর গ্রামের মোহাম্মদ মোসলেউদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা বিভিন্নস্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাইফুল ইসলামের অবস্থান নিশ্চিতের পর অভিযান চালানো হয়। পরে তুরাগ থানার ধউর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে বলেন, আজ সাইফুল ইসলাম নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান রায়হান হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বক্কর বলেন, শামীম হত্যা মামলায় আজ সাইফুল ইসলাম নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা প্রান্তিক ( জয়বাংলা গেট) গেটে এলে তাকে একদল শিক্ষার্থী মারধর করে। পরে প্রক্টর অফিসে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় পুলিশ উদ্ধার করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷ এঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার-১ (নিরাপত্তা) এর সুদীপ্ত শাহিন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।