জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ ব্যানারে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলে। এসময় প্রধান ফটকসহ অন্যান্য ফটকও তালাবন্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা।
নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের পাঁচ দফা দাবি হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা ও র্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করাসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে, জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
প্রতীকী অবরোধ শেষে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ মেঘ বলেন, আজকে আমাদের মৌন প্রতিবাদসহ প্রশাসনিক ভবন অবরোধ ছিল। যদি সামনের দিনগুলোয় পাঁচ দফা দাবি মেনে না নেয় প্রশাসন তাহলে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।
অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম প্রমুখ।