সিনেট, সিন্ডিকেটসহ মেয়াদোত্তীর্ণ সব পর্ষদের নির্বাচনের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট সভা থেকে ওয়াকআউট করেছেন বিএনপিপন্থি আট সিনেট সদস্য। শনিবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ৪০তম অধিবেশন চলাকালে বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে ওয়াকআউট করেন তারা।
বাজেট অধিবেশন চলাকালে উপাচার্যের ভাষণের পর ‘পয়েন্ট অব অর্ডারে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম বলেন, ‘আপনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়াদোত্তীর্ণ পর্ষদের নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’
উপাচার্য তাকে আলোচনার সময় বিষয়টি উত্থাপনের অনুরোধ করলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের এই সদস্য সচিব বলেন, ‘আমি পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলছি। এটা আমার অধিকার। আপনি বলেছেন পর্যায়ক্রমে সব পর্ষদের নির্বাচন দেবেন। কিন্তু উদ্যোগ নেননি। এর প্রতিবাদে আমি আমার পক্ষভুক্ত সিনেট সদস্যদের নিয়ে ১০ মিনিটের জন্য ওয়াকআউট করছি।’
এ সময় পাশে বসে থাকা রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ক্যাটাগরির সিনেট সদস্য মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা উত্তেজিত কণ্ঠে তাকে বলেন, ‘আপনি ফাজলামো করেন? আপনি কেন এই কথা বলবেন?’। একপর্যায়ে তিনি শামসুল আলম সেলিমকে ‘বেয়াদব’ বলে আখ্যায়িত করেন।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামিমা সুলতানা বলেন, ‘মাননীয় উপাচার্য এটা কোনো দলীয় জায়গা না। ওনাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা অসম্মানিত বোধ করছি। ওয়াকআউট আমাদের অধিকার। এটা একটা সভাকক্ষ। আমি অনুরোধ করছি পাস থেকে এ ধরনের কথা না বলার জন্য।’
সভায় শোক প্রস্তাবের পর দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘এই প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্ষদে নির্বাচন দেয়নি। এই যৌক্তিক কথা বলার জন্য এভাবে অপমানিত হতে হয়। ওই সিনেট সদস্যের বলা ‘বেয়াদব’ শব্দটি সিনেট থেকে এক্সপান্স করতে হবে।’
এ সময় বিএনপিপন্থি সিনেট সদস্যরা ওয়াকআউট করে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। ওয়াকআউট করেন অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক মাহবুব কবির, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা এবং সাবিনা ইয়াসমিন।