সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক জামিনের এ আদেশ দেন।
একই মামলায় ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে আলোচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসের জামিন নামঞ্জুর করেন একই আদালত।
গত ২৯ জুলাই এ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া। আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদনের পক্ষে সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, খাদেমুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক আরিফ সোহেলকে ৫০০ টাকা বন্ডে জামিন দিলেও আসিফ মাহতাবের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ জুলাই আরিফ সোহেলকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে এবং একইদিন রাত ১টার দিকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ১০/এ সড়কের বাসা থেকে আসিফ মাহতাবকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচতলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ ভ্যান, মিনিবাসসহ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।