দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: পুরো পরিচালনা কমিটিই ভুয়া, জাল কাগজপত্র দেখিয়ে করা হয় স্ট্যামফোর্ড কলেজ উত্তরা’র নির্বাহী কমিটি। এসব অভিযোগ অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম সুমন ও অবৈধ কমিটির সভাপতি কামাল বাশারের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এক কোটি নয় লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এগুলোর হিসেবে চাইলে বহিরাগতদের দিয়ে হুমকি দেয়া হয় মিজানুর রহমান ও খালেকুজ্জামানকে।
অভিযুক্ত কামাল বাশার ও অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দাবি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে আবেদন জমা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ফাতিনাজ ফিরোজ এবং মিজানুর রহমান যিনি ফাতিনাজ কর্তৃক কলেজ পরিচালনা বোর্ডের মনোনীত সভাপতি।
এক হলফনামায় ফাতিনাজ ফিরোজ বলেন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অনুমতিক্রমে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। কিন্তু করোনার কারণে আর্থিক সংকটে তিনি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে পারছিলেন না। পরে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে মিজানুর রহমান, খালেকুজ্জামান ও কামাল বাশারের নামে প্রতিষ্ঠানটি কিছু শর্তসাপেক্ষে হস্তান্তর করেন। কিন্তু মিজানুর রহমান ও খালেকুজ্জামানকে বাদ দিয়ে গোপনে কমিটি গঠন করেন কামালা বাশার। এতে অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম সুমনের যোগসাজশ ছিলো বলে জানা যায়।
কামাল বাশার ও অধ্যক্ষ মিলেমিশে রেজুলেশনসহ কিছু কাগজ জালিয়াতি করে ফাতিনাজ ফিরোজের সঙ্গে প্রতিরণা ও জালিয়াতি করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পাঠদানের মেয়াদ বৃদ্ধি ও কামাল বাশারকে কমিটির সভাপতিও করা হয় ভুয়া কাগজ দেখিয়ে। ঢাকা বোর্ড থেকে কমিটির অনুমোদনও নেওয়া হয়।
ভুয়া কাগজে তৈরি করা নির্বাহী কমিটি বাতিল দাবি করে গত ১৩ মার্চ ঢাকা বোর্ডে আবেদন জমা দেন ফাতিনাজ ফিরোজ।
তবে, বারবার চেষ্টা করেও মতামত জানা যায়নি অধ্যক্ষ ও সভাপতির।
এদিকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড দুই সদস্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী মঙ্গলবার কমিটি সরেজমিন তদন্তে যাবেন বলে জানা যায়।