জাল সনদে বহুদিন ধরে শিক্ষকতা করছেন এমন আরো ৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুসন্ধানের সব পদ্ধতি অনুসরণ করে নিশ্চিত হয়েছে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা। শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ ব্যবহার করে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার মাদরাসায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। তারা সবাই এমপিওভুক্ত মাদরাসায় কর্মরত।
সাত জালিয়াতের মধ্যে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে সুপারিশ পাওয়া দাবি করে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন মো. নাজমুল ইসলাম। তার রোল নম্বর দেখিয়েছেন ৩১৩০০৯৯৯ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর. ১৪২০১৭০১৪২৫০। তিনি শারীরিক শিক্ষার সহকারী শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে নাজমুলের এই সনদটি জাল।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পাস দেখিয়েছেন আবদুর রহিম, রোল: ৩১৪০২১২৪১, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬২০১৯০০৮১৮৯। জাল সনদ দিয়ে ধর্ম শিক্ষার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করে যাচ্ছেন আবদুর রহিম।
কৃষি শিক্ষার শিক্ষক পদে চাকরি নিয়েছেন এস এম শাহীন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়ে সহকারী মৌলভী পদে চাকরি করছেন মো. মাজহারুল ইসলাম।
এ ছাড়াও মো. জসিম উদ্দিনও সহকারী মৌলভী পদে চাকরি করছেন। তিনিও একই বছরের নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়েছেন।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ১১তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস দেখিয়েছেন মো. আজহারুল ইসলাম। তিনিও জাল সনদে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন সহকারী মৌলভী পদে।
একইভাবে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত ৯ম নিবন্ধন পরীক্ষার সদন জাল করে সহকারী মৌলভী পদে শিক্ষকতা করছেন রাখা আক্তার, তার রোল: ৩১৪২৯৮২২, রেজি: ২০১৩৯৩৪৪৪৮।
বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে বলে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।