দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এই সনদ দিয়ে তিনি নিয়োগ নেয়ার পর এক যুগ ধরে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা ‘দৈনিক শিক্ষাডটকম’ এবং দৈনিক আমাদের বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
দেশের একমাত্র শিক্ষা বিষয়ক ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষা ডটকম পত্রিকায় গত সোমবার ‘জাল সনদে এক যুগ চাকরির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের কোনো তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসের রেজিস্ট্রারে না থাকায় অনুসন্ধানী এই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ রাণীনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নজরে এলে তিনি ওই শিক্ষিকার সনদগুলো যাচাইয়ের জন্য আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেয়ার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার একটি চিঠি দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র অফিসে জমা দিতে বলেছি। এরপর কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। সেখান থেকে সনদ যাচাই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
চিঠি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) উজ্জ্বল কুমার সরকার বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চিঠি আমি পেয়েছি।