বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জিয়াউল আহসান আছেন এমন সন্দেহে উড্ডয়নের আগমুহূর্তে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি করা হয়। তবে ফ্লাইটে তল্লাশি করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে এই তল্লাশি থামায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দরে ডিউটিরত একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাত দেড়টায় ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল জিয়াউল আহসানের। ফ্লাইটটি বোর্ডিং ব্রিজ থেকে রানওয়ের দিকে যাচ্ছিল। তবে হঠাৎ পাইলটকে ফ্লাইটটি নিয়ে বোর্ডিং ব্রিজে ফিরে আসতে বলা হয়। পাইলট ফিরে বোর্ডিং ব্রিজে এলে ফ্লাইটে প্রবেশ করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পুরো ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন কর্মকর্তা জানান, তাকে আটক করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর এই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিরোধী নেতারা।