প্রত্যেক শিক্ষারর্থীর স্বপ্ন থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজের ডিগ্রি অর্জন করা এবং নিজের দেশের নাম উজ্বল করার৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অনেক আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করা প্রয়োজন৷ জেনে রাখা দরকার নিয়মাবলি৷
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে নিজের দেশের মার্কিন কনস্যুলেট বা দূতাবাস এ যোগাযোগ রাখতে পারেন৷ ভিসা প্রসেসের জন্য প্রথমেই ভিসা আবেদন করার ফরম পূরন করতে হয়৷ এর জন্য শিক্ষার্থী আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়ার জন্য ঠিক করছেনতার বিবরণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো স্টাইপেন্ড বা খরচ দিচ্ছে কি না সেই বিষয়ে তথ্য দিতে হবে৷ নিজের পারিবারিক আর্থিক ক্ষমতা অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কীভাবে আমেরিকায় গিয়ে নিজের লেখাপড়া সম্পন্ন করবে সেই তথ্য৷ নিজের পাশ পোর্ট এবং জন্ম তারিকের সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট ফটো তৈরি রাখতে হবে৷ সঙ্গে রাখতে হবে নিজের একাডেমিক এর সমস্ত সার্টিফিকেট, ভিসা আবেদন এর ফি’র রশিদ৷ আবেদন করার সময় প্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিন সময় নির্ধারণ করতে হবে৷
দূতাবাস এ ইন্টারভিউ অফিসার প্রার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্নই করতে পারেন৷ নিজের পড়তে যাওয়ার ইচ্ছা কেনো এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা৷ শিক্ষার্থীকে সব প্রশ্নেরেই উত্তর দিতে হবে ইংরেজিতে৷ সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে ইন্টারভিউ নেয়া অফিসারের সামনে৷ শিক্ষা শেষে দেশে ফিরে আসার পর শিক্ষার্থী কী করবেন তার পরিকল্পনা আগে থেকেই রাখতে হবে ৷
নিজের ডকুমেন্টস এর ফাইল সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে৷ শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজিতে কথাবার্তা বলার অভ্যাস আগে থেকেই করে রাখা ভালোন৷ স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসের সময় ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ লাগতে পারে ৷
আমেরিকায় পড়তে যাওয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার আগেই নিজেকে তৈরি করতে পারলে হবে এবং সফলতা পাওয়া যাবে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন সংশ্লিষ্ট দেশের নিজের নিজের৷ তবে শিক্ষার্থীরা নিজেদের এগিয়ে রাখুন ইংরেজিতে কথা বার্তা বলারা মধ্যে দিয়ে৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষার্থীর একাডেমিক রেজাল্ট অনেক ভালো, কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের পর দূতাবাস এ সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় ইংরেজিতে সুস্পষ্ট দখল না থাকার জন্য বাতিল হতে পারে নিজের পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন৷ তাই সময় থাকতেই প্রস্তুতির মধ্যে থেকে নিজেকে সফল করে তুলতে হবে৷