নওগাঁয় র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব-৫-এর ১১ জনকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদেরকে ঢাকায় সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, এ ঘটনা তদন্তে র্যাবের একটি দল রাজশাহীতে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে নওগাঁ থেকে প্রত্যাহার করে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে র্যাব। আটক অবস্থায় র্যাব সুলতানা জেসমিনকে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে র্যাব পাহারায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৪ মার্চ তিনি মারা যান।
অন্যদিকে ২৩ মার্চ রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. এনামুল হক জেসমিন সুলতানার বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় জেসমিন সুলতানার কথিত সহযোগী আল আমিনকে গতকাল বুধবার ঢাকা থেকে আটক করে র্যাব।
জেসমিন সুলতানার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রও (আসক) একই দাবি জানিয়েছে।