বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পরে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর ৬ আগস্ট সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। গত ৬ আগস্ট থেকে সোমবার পর্যন্ত কলেজ, মাদরাসা, হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি তুলনামূলক কম। তবে ক্রমান্বয়ে উপস্থিতির হার বাড়ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি হরচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আফছার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে কম।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। আবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রাস্তায় এখনো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
ঝালকাঠি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক শ্রেণিকার্যক্রমে উপস্থিতির তুলনায় অর্ধেক উপস্থিতি আছে। সদর উপজেলার বালিঘোনা এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আফছার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালেক্টরেট স্কুল, সৈয়দা জামিলা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে উপস্থিতি অনেকাংশেই কম।
শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দুপুরে গিয়ে দেখা যায় ৮ম শ্রেণির ৫ জন উপস্থিত আর কোনো ক্লাসেই কোনো শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। উপস্থিত থাকা কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, যে বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থীরা হয়তো আসতে পারেনি। তবে সকালে বেশি ছিলো উপস্থিতি।
সদর উপজেলার জয়শী আজিজিয়া দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম, তেরআনা শাহমাহমুদিয়া আলিম মাদরাসায় উপস্থিত মোটামুটি আছে, নেছারাবাদ জিনাতুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি মাদরাসায় ছাত্রীদের উপস্থিতি শতকরা ষাট ভাগ, উত্তম নগর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায়ও মোটামুটি উপস্থিতি, সারেংগল নেছারিয়া হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসা স্বাভাবিক উপস্থিতির তুলনায় বর্তমান উপস্থিতি নব্বই ভাগ।
ঝালকাঠি সরকারি কলেজে উপস্থিতি মোটামুটি ভালো থাকলেও ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে উপস্থিতি সাধারণ উপস্থিতির তুলনায় শতকরা ষাট ভাগ। গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষে ক্লাস ও ২য় বর্ষের পরীক্ষা চলারর কারণে উপস্থিত তুলনামূলক ভালো। গাভারামচন্দ্রপুরের তেরোআনা শাহমাহমুদিয়া কলেজে উপস্থিতি শতকরা ষাট ভাগ। আকলিমা মোয়াজ্জেম হোসেন কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই নগণ্য।
এ ব্যাপারে আকলিমা মোয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ যুথিকা মন্ডল মুঠোফোনে দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমি বাইরে আছি। উপস্থিতি কেমন সঠিক জানি না।
কালেক্টরেট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুজিৎ কান্তি বসু বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির কারণে উপস্থিতি কম, তবে আমরা বিভিন্ন উপায়ে যেমন-ফোন করছি, মেসেজ দিচ্ছি ও স্কুলের গ্রুপে শিক্ষার্থী যথাযথ সময় স্কুলে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বেড়ে যাবে।