বন্যার্তদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণত্রাণ’ কর্মসূচি চলমান রয়েছে। অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চার দিনে মোট ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ৬০৩ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। অন্যদিকে এই কদিনে বিভিন্ন খাতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ টাকা।
রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হয়। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই টাকা সংগ্রহ করা হয়।[inside-ad-]
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা জানান, মোট পাওয়া অর্থের মধ্যে টিএসসিতে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৬৯০ টাকা, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৬২ লাখ ৯৪ হাজার ১২০ টাকা, ব্যাংকিং মাধ্যমে ২১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৩ টাকা ৬৮ পয়সা এসেছে।
ব্যয়ের বিষয়ে বলা হয়, ব্যয়কৃত অর্থ ত্রাণসামগ্রী, জরুরি ওষুধ, ত্রাণ রাখার ব্যাগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের খাবারের পেছনে গেছে। তার মধ্যে খেজুর বাবদ ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা, মুড়ি বাবদ ৪ লাখ ৩০০, বিস্কুট বাবদ ২ লাখ ১ হাজার ৫০, গুড় বাবদ ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০, ভলান্টিয়ারদের রাত ও দুপুরের খাবার ৩৯ হাজার, গাড়ির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক ৮ হাজার টাকা, পলিথিন ১ লাখ ২ হাজার ৫০০, বস্তা ১ লাখ ৭৯ হাজার, চিনি আড়াই লাখ, রিকশা ও ভ্যান ভাড়া ৬৫০ টাকা এবং দড়ি, কলম ও কার্টার বাবদ ৭৩০ টাকা ব্যয় হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণত্রাণ কর্মসূচিতে পাওয়া অর্থসামগ্রী বিভিন্ন জেলায় সশরীরে এবং প্রশাসনের সাহায্যে বিতরণের বিষয়ে বলা হয়, রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৫০ ট্রাকভর্তি ৫০ হাজারের অধিক ত্রাণসামগ্রী বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। প্রতি ট্রাকে ৮০০-১ হাজার টি রিলিফ প্যাকেজ (এক পরিবার) এবং ২০-৩০ কেস পানি দিয়ে পরিপূর্ণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেজ একটি পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাদ্য এবং ওষুধের প্যাকেজ তৈরি করা হয়। তা ছাড়া বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার প্যাকেজ হেলিকপ্টারে করে বন্যাকবলিত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে বণ্টন করা হয়েছে এবং ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন উইংয়ের প্রধান রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত ও টিএসসি বুথের প্রধান সমন্বয়ক অদিতি।