দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : টেসল বিডি আয়োজিত ’TESOL in Transition: 4th Industrial Revolution and Beyond’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শনিবার শেষ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সম্মেলন শুরু হয়। ব্রিটিশ কাউন্সিল, ঢাকার আমেরিকান সেন্টার এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আইএমএলআই) এর সহযোগিতায় টেসল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ইংরেজি শিক্ষকদের এ সম্মেলন আয়োজন করে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ভাষা শিক্ষার পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জনে শিক্ষক, গবেষক এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ও ফলিত ভাষাতত্ত্বে আগ্রহীরা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী দিনে বিশ্ববিখ্যাত তিনজন বিশেষজ্ঞ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তারা হলেন- ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির ড. রিচার্ড স্মিথ, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. স্টিফেন ক্রাশেন ও ইংরেজি ভাষা বিশেষজ্ঞ ড. মারিয়া ভিলালোবোস বুহনার।
এর আগে প্রথম দিনের স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক ও দ্বিতীয় টেসল বিডি ইন্টারন্যাশণাল-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান।
প্রথম সেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ ইউএস অ্যাম্বাসির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি, ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশ’র পরিচালক টম মিশসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফ। পরে 'টেসল বাংলাদেশ জার্নাল'-এর উদ্বোধন করা হয়।
এরপর অধ্যাপক এএমএম হামিদুর রহমান, অধ্যাপক ড. আরিফা রহমান, অধ্যাপক আব্দুস সেলিম এবং অধ্যাপক শামসুল হককে 'লাইফটাইম অ্যাকাডেকিম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড টু ইএলটি পাইওনিয়ার্স' দেয়া হয়।
অধ্যাপক এএমএম হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে 'টেক অ্যা স্টেপ ব্যাক অ্যান্ড লুক অ্যারাউন্ড: ইনোভেশন অ্যান্ড চেঞ্জ ইন হিস্টোরিক্যাল পার্সপেক্টিভ'র ওপর মূল বক্তব্য দেন ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএলটি অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড লিঙ্গুইস্টিকসের অধ্যাপক রিচার্ড স্মিথ।
চা বিরতির পর শুরু হওয়া সেশনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের উপস্থাপনা করেন সাউদ এশিয়া ইংলিশ প্রোগ্রামের হেড অব ইংলিশ ইন এডুকেশন রুস্তম মুডি। এ সময় অ্যামেরিকান সেন্টারের উপস্থাপনাও করা হয়। এ ছাড়াও প্লেনারি সেশনে অধ্যাপক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে 'ফরেন ব্রেকিং অব অ্যা কান্ট্রি ডগ! অর, নীড ফর এক্সটেন্সিভ রিডিং?' বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এএমএম হামিদুর রহমান।
মধ্যাহ্নভোজ ও প্রার্থনা বিরতির পর প্রথম সেশনে চারটি প্যারালাল সেশনের মাধ্যমে পেপার প্রেজেন্টেশন ও চারটি ইন পারসন ও একটি অনলাইন প্যারালাল সেশনের মাধ্যমে পেপার উপস্থাপন করা হয়।