ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ায় ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন আনন্দ মিছিল করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে ঠাকুরগাঁও বড় মাঠ থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোট চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ব্যারিস্টার নুর-উস সাদিক চৌধুরী বলেন, যারা ঠাকুরগাঁওয়ের ভাগ্যোন্নয়নের চিন্তা করবে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ তাদেরকেই হৃদয় পেতে দেবে, অন্য কাউকে নয়। নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য যারা রাজনীতিতে আসেন তাদের দিন শেষ। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ চেয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত ঘোষণার দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলে আমাদের জেলার অনেক উন্নয়ন হবে। বিভিন্ন জেলার ছেলেমেয়েরা এসে পড়াশোনা করবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজের এলাকাতে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে, যারা মেধাবী তারা চাকরির সুযোগ পাবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাইকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ঠাকুরগাঁওয়ের আরও উন্নয়ন প্রয়োজন।
ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, আপনারা যদি অতীতে ফিরে তাকান তাহলে ২০০১ থেকে ২০০৬ এর উন্নয়ন এবং ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের আকাশ-জমিন পার্থক্য দেখতে পাবেন। যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে দেশের বাইরে গিয়েছে তারা আজ ঠাকুরগাঁওয়ে এসে উন্নয়ন দেখে অবাক হয়। পুরো ঠাকুরগাঁও এখন আলোকিত।
সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুনুর রশীদ বলেন, ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। ২০১২ সাল থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ব্যারিস্টার নুর-উস সাদিক চৌধুরী ভাই। ২০১৮ সালে ২৯ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেটি আজ চূড়ান্ত।
তরুণ সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসির আল মামুন বলেন, একটি জেলাকে বদলে দিতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা।